কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় 2024 (১০০% কার্যকারী)

কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়
আজকের আর্টিকেলে এমন কতগুলা উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যা মেনে চললে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে। সেইসাথে চলুন আমরা কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় জেনে নেই।

পোস্টের সূচিপত্রঃ কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়

কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়

কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় আমাদের অনেকের অজানা। আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকম কবুতর শখ বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পালন করি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিয়ে থাকে। অনেক সময় সঠিক খাবার বা যত্নের অভাবে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় না। অথচ কবুতরের তাড়াতাড়ি ডিম দেয়ার পিছনে তার খাবার সব থেকে বেশি কাজ করে। 
কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়
তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়।
  • কবুতর যদি পর্যাপ্ত পরিমান খাবার পায় তাহলেই কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে। কবুতর থেকে বেশি ডিম পেতে হলে তার খাদ্যের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
  • প্রথমেই কবুতরকে পরিষ্কার পাত্রে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি দিতে হবে। পানির পাত্র কোনভাবেই ময়লাযুক্ত হওয়া যাবে না। এতে সেখানে মিউক্যাশ জমতে পারে। সকালে খেতে দেওয়া পানি ফেলে দিয়ে দুপুরে আবার নতুন পানি দিতে হবে।
  • কবুতর দিনে প্রায় ৪৫ মিলি পানি পান করে। এজন্য তাকে পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। এতে কবুতরের ডিম দেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
  • কবুতরকে নতুন গাছের পাতা বা অঙ্কুরিত গাছ বেশি খাওয়াতে হবে।
  • কবুতর নোনা মাটি খেতে পছন্দ করে । তাকে আবদ্ধ করে পালতে হলে তাকে মাঝেমধ্যেই নোনা মাটি খাওয়াতে হবে।
  • আমরা অনেক সময় কবুতরকে পোকামাকড় খেতে দেই। কবুতরকে পোকামাকড় খেতে দেওয়া যাবে না। পিত্তথলি না থাকার কারণে কবুতর সব খাবার হজম করতে পারে না তার মধ্যে পোকামাকড় অন্যতম।
  • কবুতরকে গম, ভুট্টা, সরিষা দানা, চাউল, সবুজ মটর, সূর্যমুখীর বীজ, অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে। এতে করে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে।
  • ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। কবুতরকে ডিমের খোসা, ইটের গোড়া, ঝিনুক গুড়া খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে।
  • এগুলোর সাথে কবুতরকে মাসে চারদিন গ্রিট দিতে হবে। অনেকে ভেবে থাকেন কবুতরকে গ্রিট না দিলেও হয়। গ্রিট কবুতরের খাবার হজমে অত্যন্ত কার্যকরী। এবং খনিজ লবণের অভাব পূরণ করে। এজন্য কবুতরকে গ্রিট দেওয়া প্রয়োজন
  • কবুতরকে মাঝেমধ্যে কালোজিরা, মেথি, মৌরি, চাউল ইত্যাদির মিশ্রণ খাওয়াতে পারেন। কবুতর খেতে না চাইলে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
  • এছাড়া মধু, রসুন, লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, এলোভেরা, কাঁচা শাক-সবজি কবুতরের পুষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কবুতরকে সজীব রাখে।
  • সব জাতের কবুতর সব খাবার খেতে পারে না তাই আপনি চাইলে সেসব খাবার গুড়ো করে সরবরাহ করতে পারেন। এবং পানির সাথে মিশিয়ে কবুতরকে খাওয়াতে পারেন।
  • কবুতরকে মাসে দুই থেকে তিন দিন কোন খাবার দেওয়া উচিত নয়। এতে তার হজম শক্তি বেড়াতে সাহায্য করবে।

কবুতরের খাবার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা যা অনেকেই জানেন না

কবুতরের খাবার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা যা অনেকেই জানেন না। এই খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়। যেহেতু এ বিষয়ে আলোচনা করছি তাই কবুতরের খাবার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে যা আমাদের জানা জরুরী। তাই চলুন দেখে নেয়া যাক কবুতরের খাবার নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা অনেকেই অনেক সময় ভেবে থাকি কবুতরের জন্য ভালো খাবারের দরকার নেই। 

অথচ কবুতরের সমস্ত বিষয় অর্থাৎ কবুতরের ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবকিছু নির্ভর করে কবুতরের খাবারের উপর। আমরা সখ করে অথবা বাণিজ্যিকভাবে যে উদ্দেশ্যেই এই কবুতর পালন করি না কেন কবুতরকে অবশ্যই পুষ্টিকর এবং ভালো মানের খাবার দিতে হবে।
  • প্রথমত কবুতরের খাবার দোকান থেকে কিনে এনে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন এবং রোদ্রে শুকাতে দিবেন।তারপর কবুতরকে খাওয়াবেন। কেননা বাজারে যেভাবে সংরক্ষণ করা হয় এতে খাবার জীবাণু জন্মাতে পারে। তাই সরাসরি কবুতরকে সেই খাবার না খেতে দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর খেতে দিবেন নয়তো কবুতর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
  • এছাড়া শস্যদানা সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থেকে যা কবুতরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া আপনি যদি আপনার কবুতরকে সরাসরি ভাঙ্গা ভুট্টা খেতে দেন তাহলে অবশ্যই সেদ্ধ করে তারপর খেতে দিবেন। কেননা ভাঙ্গা ভুট্টাই অনেক রোগ জীবাণু থাকে এতে করে আপনার কবুতর সাল্মনেলিসিস ও রক্ত আমাশয়ের মত মারাত্মক রোগী আক্রান্ত হতে পারে।
  • কবুতরকে কমপক্ষে দিনে দুইবার খাবার দিবেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনারা যারা কবুতর আকাশে উড়িয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে কবুতরকে একসাথে বেশি খাবার দেয়া একদমই উচিত নয়। কবুতরকে পরিমাণ মতো খাবার দিবেন এটাই খাবারের অপচয় ও কম হবে।
  • কবুতরকে পরিমাণ মতো পানি পান করতে দিবেন একসাথে বেশি পানি খেতে দেয়া উচিত নয়
  • কবুতরকে শর্করা জাতীয় খাবার ৭৫% দিতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার গুলো হল গম ভুট্টা সবুজ মটর চাউল ইত্যাদি।
  • তেলবীজ সমৃদ্ধ খাবার ২৫% দিতে হবে। তেলবীজ জাতীয় খাবার গুলো হলো সরিষা, সূর্যমুখী, কুসুম ফুলের বীজ ইত্যাদি।
  • অনেকে মনে করে হাঁস মুরগি ও পাখি । কবুতরও পাখি। তাই হাঁস মুরগির খাবার খাওয়ালেই হয়তো কবুতর বেশি ডিম দিবে। কবুতরের পাকস্থলী সম্পূর্ণ আলাদা তাই তাদের হাঁস মুরগির খাবার খাওয়াবেন না।
  • কবুতরের খাবারের তালিকায় রেজার রাখবেন না কেননা এতে কোন পুষ্টিগুণ নেই বরং এটি রোগ জীবাণু বহন করে।
  • আমরা অনেকেই কবুতর মোটা তাজা করণে কবুতরকে বয়লার গ্রোয়ার খেতে দেই। বয়লার গ্রোয়ার সাধারণত হাঁস মুরগির জন্য তৈরি। আর হাস মুরগি যা হজম করতে পারে কবুতর তা হজম করতে পারে না। এতে করে কবুতরের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে।
  • কবুতরকে বয়লার গ্রোয়ার খাওয়ালে কবুতরের পায়খানা নাপাক হয়ে যায়। আমরা বাসা বাড়িতে যেসব কবুতর ছেড়ে পালি সেসব কবুতর অনেক সময় আমাদের ঘাড়ে এসে বসে এবং আমাদের কাপড়-চোপড়েও বসে থাকে। আমরা যারা মুসলিম আছি বিশেষ করে যারা নামাজ পড়ি তাদের অবশ্যই এই বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত।

কোন ঔষধ খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়

কোন ঔষধ খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় তা আমাদের অনেকের প্রশ্ন। অনেক সময় দেখা যায় কবুতরের সঠিক যত্ন নেয়ার পরও কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় না। তাই আমি এখন আপনাদের সাথে আমি একটি ঔষধের কথা শেয়ার করব যেটা খাওয়ালে আপনার কবুতর ২ সপ্তাহের মধ্যেই ডিম পারবে। আমরা যেমন অসুস্থ হলে ঔষধ খেয়ে থাকি ঠিক তেমনি কবুতর পুষ্টিহীনতায় ভুগলে তাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে। 

আর পুষ্টিহীনতা দূর হলেই কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে। তাহলে চলুন দেখে নিয়ে যাক কোন ওষুধ খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়। কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেওয়ার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ম্যাজিক এর মত কাজ করে। তাহলে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কোন খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে।

কবুতরের তাড়াতাড়ি ডিম দেওয়ার জন্য ঔষধ ব্যবহারে নিয়ম

আমরা তো কোন ওষুধ খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় সে সম্পর্কে জানলাম। এখন কবুতরের তাড়াতাড়ি ডিম দেওয়ার জন্য ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। এইজন্য আপনাকে একটি ২৫০ গ্রামের ই ক্যাপসুল খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে কবুতরকে খাওয়াতে হবে। এই ঔষধ মিশ্রিত খাবারটি ১ থেকে ২ দিন ১০ গ্রাম করে খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল  মিশ্রিত খাবার খাওয়ানোর ফলে কবুতরের শরীর গরম হবে এবং এরা ঘন ঘন ব্রিডিং করবে। ঔষধ খাওয়ানো ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই কবুতর ডিম দিবে বলে আশা করছি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খালি পেটে খাওয়ান কিন্তু প্রতিদিন খাওয়ানো যাবে না, এতে কবুতরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। এছাড়া পানিতে এক ফোঁটা করে পটাশ মিশিয়ে কবুতরকে খাওয়ালে তা কবুতরকে সহজেই ডিম পারতে সাহায্য করবে।

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় তা আমাদের অনেকের অজানা। কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় সে সম্পর্কে জেনেছি। চলুন এখন জেনে নেয়া যাক কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে। প্রথমে আমাদের দেখতে হবে যে আমরা সঠিক জাতের কবুতর নিয়েছি কিনা। তা না হলে কবুতর বেশি ডিম দিবে এই আশা করাটা বৃথা। পৃথিবীতে কবুতরের প্রায় ১২০টি জাতের মধ্যে আমাদের দেশে কবুতরের ২০টি জাত পাওয়া যায়। 
কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়
এর মধ্যে গিরিবাজ জাতটি সবথেকে বেশি উন্নত। গিরিবাজ কবুতরের আকার ছোট এবং লম্বা টাইপের হয় এছাড়া গিরিবাজ কবুতর অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। তারা ১৫ দিন পর পর ডিম দিতে সক্ষম। কারণ এদের উড়তে পারার ক্ষমতা অন্যান্য কবুতরের চেয়ে বেশি। গিরিবাজ জাতটি এক মাসের মধ্যে এক জোড়া ডিম এবং এক জোড়া বাচ্চা দিতে পারে। 

গিরিবাজ কবুতরটি তাদের বাচ্চাকে বেশি বেশি করে খাবার খাওয়াতে পারে এতে করে বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পায় এবং তাড়াতাড়ি বড় হয়। যার কারণে তারা অধিক পুষ্টিকর খাবার খেয়ে বেশি ডিম দিয়ে থাকে। এই গিরিবাজের মধ্যেও আরো বেশ কয়েকটি জাত আছে যে জাতগুলা বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে। তাই কবুতর বেশি ডিম দেওয়ার ক্ষেত্রে তার জাত নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

কবুতর কত মাস বয়সে ডিম দেয়

একটি কবুতর কত মাস বয়সে ডিম দিয়ে থাকে আপনি কি জানেন? একটি কবুতর সাধারনত ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তার মধ্যে জঙ্গলী কবুতরগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং গৃহস্থালি কবুতরগুলোর বাঁচার সক্ষমতা ১০ থেকে ১৫ বছর। কবুতরের সঠিক পরিচর্যা করলে একটি কবুতর সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাস বয়স হলেই ডিম দেয়া শুরু কর

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে উড়তে পারে

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে উড়তে পারে তা আমাদের জানা জরুরি। কবুতরের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার চার থেকে পাঁচ দিন পর বাচ্চা কবুতরের চোখ ফোটে। এবং কবুতরের পুরো শরীর পালকে পরিপূর্ণ হতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে। এভাবে ১ মাস বয়সে একটি কবুতর পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং ২ মাস বয়সে একটি বাচ্চা কবুতর ভালোভাবে আকাশে উড়তে পারে। 

একটি বাচ্চা কবুতরকে বেশি বেশি পুষ্টিকর ও দানাদার খাবার খাওয়াতে হবে যাতে সে সঠিক পুষ্টি পায় এবং দ্রুত বড় হয়। একটি বাচ্চা কবুতর সঠিক পুষ্টি পেলে সে ৪০ দিনের ভেতরেই হালকা হালকা উড়ে বেড়াতে পারে।

ভালো জাতের কবুতর চেনার উপায়

ভাল জাতের কবুতর চেনার উপায়। কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়? যেহেতু এই বিষয়ে আলোচনা করছে তাই ভালো জাতের কবুতর চেনার উপায় আপনার জানা থাকলে আপনি অনেক লাভবান হবেন। কেননা আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাল জাতের কবুতর কিনতে হবে।

 তা না হলে কবুতর পালনে আপনি লাভবান হতে পারবেন না এছাড়াও ভালো জাতের কবুতর না কিনলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেবে না এবং অধিক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চলুন দেখে নেয়া যাক কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়ার জন্য ভালো জাতের কবুতর চেনার উপায়গুলো।
  • যেসব কবুতর ভালো তাদের শরীরের পালকগুলো উজ্জ্বল থাকে।
  • ভালো যাতের কবুতরের চোখ জ্বলজ্বল করে।
  • ভালো যাতের কবুতরের নাকের জায়গা শুষ্ক থাকে। যে সব কবুতরের নাকে সর্দি থাকে সেসব কবুতর না কেনাই ভালো।
  • কবুতর কেনার আগে কবুতর ঠিকভাবে হাঁটতে পারে কিনা সেটি দেখে নিবেন।
  • যে সব কবুতরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সেসব কবুতর কিনা থেকে বিরত থাকুন। এজন্য কবুতর কেনার আগে ভালোভাবে কবুতরের শরীর দেখে নিবেন
  • ভালো যাতের কবুতরগুলো নিজের শরীর সবসময় পরিষ্কার রাখে।
  • খাঁচায় বা খোঁপে গুটিসুটি মেরে বসে থাকে এমন কবুতর কখনোই কিনবেন না।
  • ভালো যাতের কবুতরের ডানা শরীরের উপর দিকে থাকবে এবং তারা সচল থাকবে। যেসব কবুতর অসুস্থ  তাদের ডানা সাধারণত নিচের দিকে ঝুলে থাকে। তাই সেসব কবুতর কিনা থেকে বিরত থাকুন।

কবুতরের ডিম দেওয়ার লক্ষণ

কবুতরের ডিম দেওয়ার লক্ষণ গুলো জানা আমাদের সকলের দরকার।। আমরা এতক্ষণ ভালো জাতের কবুতর চেনার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন জানিয়ে দিবো কবুতরের ডিম দেওয়ার লক্ষণ গুলো। কবুতরের পুষ্টি এবং খাদ্য ঠিক থাকলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেওয়া শুরু করে। ডিম দেওয়ার আগে কবুতর তার জায়গা থেকে বেশি নড়বে না। তার থাকার জায়গাটিকে সে সুন্দর করে গুছিয়ে নেবে।

এবং তার মলত্যাগের জায়গাটি ভালোভাবে দেখুন। যদি তা সম্প্রসারিত হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিন কবুতরের ডিম দেওয়ার সময় হয়েছে। অর্থাৎ কবুতরের ডিম দেয়ার আগেই তার পেটের নিজের অংশ অনেকটা ফুলে যায়। যদি আপনার কবুতরের মধ্যে এই লক্ষণ গুলো পাওয়া যায় তাহলে বুঝবেন কবুতরের ডিম দেয়ার সময় হয়েছে।

কবুতরের ডিম দেওয়ার জন্য বাসস্থান

কবুতরের ডিম দেওয়ার জন্য তার বাসস্থানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার বাসা যদি আরামদায়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্ত্রী ও পুরুষ কবুতরের থাকার পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে কবুতর বেশি ডিম দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এক জোড়া কবুতরের জন্য ১ফুট দৈর্ঘ্য ১ফুট প্রস্থ এবং ১ফুট উচ্চতা সম্পন্ন খোপ বানাবেন।এবং একটি গ্রুপে যদি ২ জোড়া কবুতর রাখতে চান তাহলে ২ফুট উচ্চতা ১ ফুট প্রস্থ এবং 17 ইঞ্চি উচ্চতা রেখে মাঝখানে দেওয়াল দিয়ে দিবেন। 

একটি খোপের মধ্যে ২জোড়া কবুতর রাখবেন। খোপের মধ্যে কবুতরের যাওয়া আসার জন্য ৫ ইঞ্চি দরজা রাখা ভালো। কবুতরের ঘরের সামনে পানি ও খাবারের পাত্র রাখতে হবে যাতে সে যেকোনো সময় খাবার খেতে পারে। কবুতরের ঘর আরামদায়ক ভাবে বানাতে হবে এবং প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নয়তো বিভিন্ন রোগ জীবাণুতে কবুতর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কবুতরের ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। উপরের নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি বাসস্থান তৈরি করতে পারেন তাহলে কবুতর পালন করতে অনেক সুবিধা হবে এবং কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে।

কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয়

কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয়? কবুতরকে রসুন খাওয়ালে তা কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। এজন্য কবুতরকে রসুন খাওয়ানোর ক্ষেত্রে রসুন কুচিকুচি করে কেটে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এভাবে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন খাওয়াতে পারেন। এতে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং কবুতর কম অসুস্থ হবে। কোন কবুতর যদি অসুস্থ থাকে তাহলে কবুতরকে রসুন কুচি কুচি করে কেটে  খাওয়ালে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে সাহায্য করে।

কিভাবে যত্ন নিলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়

কিভাবে যত্ন নিলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয়। দেখুন কোন কবুতর যদি পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাহলে সেই কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। যখন দেখবেন কবুতর ঝিমাচ্ছে, এক কোনায় চুপ করে বসে আছে, কোন খাবার ঠিকমতো খাচ্ছে না তখন বুঝবেন কবুতর পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এবং কবুতরের তাড়াতাড়ি ডিম দেয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কবুতরের যত্ন ভালোভাবে নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে তাদের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। 

তাদের বাসায় থাকতে সমস্যা হচ্ছে কিনা, তাদের পোকামাকড় খেতে দেওয়া যাবে না, তারা কোথাও আঘাত পেলে সেখানে ঔষধ লাগিয়ে দিতে হবে, তাদের লোমগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে, তাদের শরীরে যেন খাবার না লেগে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রতিদিন তাদের বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যাতে এই রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত কম হয়। সর্বোপরি তাদের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে তাহলে কবুতর তাড়াতাড়ি ও বেশি ডিম দিবে।

কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় সে সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেলটিতে কি খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দেয় , কোন জাতের কবুতর বেশি ডিম ও বাচ্চা দেয়, কিভাবে যত্ন নিলে কবুতর তাড়াতাড়ি এবং বেশি ডিম দিবে এবং কোন ঔষধ খাওয়ালে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে, ভাল জাতের কবুতর চেনার উপায়, তাড়াতাড়ি ডিম দেয়ার জন্য কবুতরের বাসস্থান, কবুতরকে রসুন খাওয়ালে কি হয় এসব বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।

সর্বশেষে কবুতর আপনার শখের প্রাণী। আর আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনে লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো জাতের কবুতর কিনবেন তাহলে তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও কবুতরকে শর্করা সুষম জাতীয় খাবার এবং সঠিক ভাবে পরিচর্যা করবেন তাহলে কবুতর তাড়াতাড়ি ডিম দিবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url