গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার ১০টি কার্যকারী উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম


গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন তাহলে তা গর্ভাবস্থায় আপনার এবং আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করবে। এবং সেই সাথে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।

আখরোট কি

আখরোট কি। গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার  উপকারিতা ও আখরোট  খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক আখরোট কি। যারা বাদাম খেতে পছন্দ করেন এবং অনেক বেশি বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের কাছে আখরোট একটি পরিচিত নাম। আখরোট এর ইংরেজি নাম ওয়ালনাট(Walnut) বাংলায় এটিকে আমরা আখরোট বলি। 

বাদাম জাতীয় এক ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল হিসেবে আখরোটের পরিচিতি। আখরোট দেখতে গোলাকার হয়ে থাকে। আখরোটের বাইরের অংশ ফেলে দিলে ভিতরে একটি বীজ রয়েছে। এই খোলসের ভিতরের অংশ দুই ভাগে বিভক্ত বাদাম। এতে কালো ও বাদামি রঙের আবরণ বিদ্যমান যাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। 

আখরোটের ভিতরে শাসটি দেখতে মানুষের মস্তিষ্কের মতো। এটি শুধু মস্তিষ্কের মত দেখতে না মস্তিষ্ক বিকাশের কার্যকারিতাতেও বড় ভূমিকা রাখে। প্রচুর পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফলটি মানব দেহের নানাবিধ সমস্যা দূর করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে বলে আখরোটকে সুপার ফুড বলা হয়।

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার ১০টি কার্যকরী উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপক। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ভ্রুনের সঠিক বিকাশ নির্ভর করে তার স্বাস্থ্যের উপর। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত আখরোট খাওয়া মস্তিষ্ককে সজল রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাসে নানাবিধ পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ একটি উপাদান হলো আখরোট যা মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে যথেষ্ট অবদান রাখে।
চলুন তাহলে এখন গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার ১০টি কার্যকারী উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
    • আখরোটে থাকা পুস্টি উপাদান গর্ভবতী মহিলার ওজনে বাড়াতে সাহায্য করবে
    • গর্ভ অবস্থায় আখরোট অনাগত শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
    • গর্ভকালীন একজন মায়ের হরমোন ইমিউনিটি স্নায়ুতন্ত্রের উপর আখরোটে থাকা পুষ্টি উপাদান ভালো প্রভাব ফেলে।
    • গর্ভাবস্থায় আখরোট গর্ভবতী মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি যোগায় এবং পেশীকে শক্তিশালী করে তোলে
    • আখরোটে থাকা পুষ্টি উপাদান শিশুর ফুসফুসের বিকাশে ও শ্বাস প্রশ্বাসের যে সমস্যা হয়ে থাকে তার ঝুঁকি কমাতে যথেষ্ট অবদান রাখে।
    • আখরোটে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক এসিড, উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড যা মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়।
    • আখরোট নিয়মিত সেবন করলে এটায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
    • আখরোটে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে অপরিহার্য।
    • আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
    • আপনি প্রসবের পরেও আখরোট খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেন কেননা প্রসব পরবর্তী একজন মায়ের ডিপ্রেশন এবং মানসিক চাপকে দুরে রাখার জন্য আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার নিয়ম জানা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা। যেহেতু এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি তাই আপনি যদি এর সঠিক উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত যেকোনো ভাবেই আখরোট খাওয়া যায়। কালো এবং বাদামি দুই প্রকার আখরোটই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গর্ভাবস্থায় তেমন নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই আখরোট খাওয়ার। 
গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার নিয়ম
    • বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক পাঁচটি আখরোট খাওয়াই যথেষ্ট।
    • সঠিক পুষ্টিগুণ পেতে আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এজন্য আখরোট রাতে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এতে অনেক রোগ নিরাময় হয়ে থাকে।
    • এছাড়া যদি আপনি এক গ্লাস দুধের সাথে আখরোট খেতে পারেন তবে অনেক বেশি উপকৃত হবেন
    • আখরোট দুধ এবং মধুর সাথে একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন এতেও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এটি আপনাকে অনিদ্রা, মাথা ধরা, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে
    • আখরোটের সাথে মুখরোচক জলখাবার বানাতে অনেকে আখরোট হালকা ভেজে সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে খেয়ে থাকেন।
    • আখরোট বিভিন্ন খাবারের সাথে যেমন বেক করা খাবার মাছ, মাংস, সবজি এবং সালাডের সাথে মিশিয়ে একসাথে খাওয়া যেতে পারে।

শিশুর বিকাশে আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

শিশুর বিকাশে আখরোট খাওয়ার উপকারিতার বিকল্প নেই। আখরোট যেমন গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে পাশাপাশি আপনার সন্তানের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আখরোটের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন এবং ফলেট যা ভ্রুনের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে। আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন যা আপনার অনাগত শিশুর চোখ এবং মস্তিষ্ক বিকাশ করতে আখরোট যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। 

একই সাথে শিশুর মানসিক ও শারীরিক গঠনে আখরোট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আখরোটে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে। শিশুর হাড় বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান ম্যাঙ্গানিজ। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ যা আপনার শিশুর হাড় বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। 

NCBI(National Center for Biotechnology Information) গবেষণামতে দেখা যায়, একজন গর্ভবতী মায়ের আখরোট খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল গর্ভকালীন তিন মাস পর শুরু করা, যা শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটাতে অত্যন্ত সহায়ক।

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। আমরা এতক্ষণ গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই এর উপকারিতার পাশাপাশি আমাদের গর্ব অবস্থায় আক্রান্ত খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কেও অবগত হতে হবে। চলুন এখন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। 

শরীরের পুষ্টি উপাদানের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় যে কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। তাই আখরোট ও পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। অনিয়মিত আখরোট গ্রহণ আপনার শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আখরোট খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিবে।
    • এলার্জির সমস্যা হবে।
    • লিভারের সমস্যা দেখা দিবে যাদের।
    • গর্ভকালীন অত্যধিক আখরোট খেলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
    • বাদামে অ্যালার্জি আছে তাদের আখরোটেও এলার্জি সমস্যা হতে পারে তাই সতর্ক থাকা উচিত।
    • প্রয়োজনে তুলনায় বেশি আখরোট খেলে মা ও তার পাশাপাশি সন্তানের জটিলতা বাড়াই। তাই গর্ভাবস্থায়ী দৈনিক ৩০ গ্রামের বেশি আখরোট খাওয়া যাবে না।
    • কালো আখরোটের মধ্যে ফাইটেটস থাকে যা শরীরের আয়রন শুষে নেই এবং পরবর্তীতে আইরনের ঘাটতি হতে পারে।
    • প্রসবকালীন রক্তক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    • স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা বজায় রাখতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি আখরোট খান।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আখরোট এর ব্যবহার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আখরোটের কার্যকারিতা ব্যাপক। গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার তো অনেক উপকারীতা রয়েছে তবে আপনি জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আখরোটের ভূমিকা? আখরোটে থাকা ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা কমাই এবং বয়সের ছাপ দূর করে সুস্থ ত্বক বজায় রাখে। প্রতিদিন আখরোট খেলে ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে আখরোট পেস্ট করে মধু ও অলিভ তেলের সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মানসিক চাপ, ঘুমের ঘাটতি ইত্যাদির কারণে আমাদের অনেকের চোখের তলায় কালি পড়ে। তাই ঘুমনের আগে আখরোট তেল চোখের তলায় লাগানো যেতে পারে। এতে করে দ্রুত চোখের তলার কালো ভাব কমানো সম্ভব।

চুলের যত্নে আখরোটের ব্যবহার

চুলের যত্নে আখরোট এর ব্যবহার। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আখরোটের ব্যবহার যেমন রয়েছে তেমন চলে যত্নের আখরোটের ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নে আখোঁটের ব্যবহার আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আখরোটের তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলের মসৃণতা বজায় রাখে। আখরোটে থাকা পটাশিয়াম,  ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ যা চুল পড়া কমিয়ে চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে। আখরোটে থাকা বায়োটিন এবং ভিটামিন ৭ চুলকে সোজা করে, খুশকি দূর করে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আখরাত খান এবং চুলকে সুন্দর রাখুন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে আখরোটের ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তো জানলেন। চলুন এখন জেনে নেয়া যাক ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে আখরোটের ব্যবহার। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত আখরোট খেলে স্তোন ক্যান্সার, কোলন, এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার, হরমোন সম্পর্কিত ক্যান্সার এর মত মারাত্মক রোগ সমূহের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। আখরোটে পলিফেনল ইলাজিটানিন রয়েছে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছেন আখরোট খেলে ক্যান্সারে ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করতে আখরোটের ব্যবহার

হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করতে আখরোটের ব্যবহার সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক। যদি আপনার হাড় দুর্বল থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেখান থেকে আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের সচেতন থাকা উচিত। নিয়মিত আখরোট খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে। পানিতে ভেজানো আখরোটে নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান থাকে যা আমাদের হাড় ও দাতকে শক্তিশালী করে তোলে। আখরোটের মধ্যে রয়েছে আলফা লিনোফেনিক অ্যাসিড যা আমাদের হাড়কে শক্তিশালী করে এবং হাড়কে সুস্থ রাখে। আখরোটে  থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত রাখতে খুবই কার্যকরী।

গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত

আজকের আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় আখরোট খাওয়ার ১০টি কার্যকারী উপকারিতা ও আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। নানাবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর আখরোট খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আখরোট খাবেন। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য আখরোটের উপকারিতা অনেক বেশি। 

তবে এর বাজার মূল্যের কারণে সবার পক্ষে ক্রয় করা এবং নিয়মিত খাওয়া সম্ভব হয় না। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী যদি নিয়মিত আখরোট খাওয়া যায় তবে তা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url