গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় (কার্যকরী)
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। সেই সাথে আজকের আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে এসে সকলেই চান তাদের সন্তানের গায়ের রং যেন ফর্সা হয়। তাই আপনার
অনাগত সন্তানের গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল করতে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় যে ১০টি খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়।
পোস্টে সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
- একটি বাচ্চা ফর্সা বা কালো হওয়া কিসের উপর নির্ভর করে
- গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এগুলো বিশ্বাস করা কতটা যৌক্তিক
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে কিছু অসাধারণ প্রশ্ন উত্তর
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
গর্ভাবস্থায় যে ১০টি খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় তা আমাদের অনেকের প্রশ্ন। বাচ্চার
সুস্বাস্থ্য সকলেই চান। এজন্য অনেকেই গর্ভাবস্থা থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে
থাকেন।গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ভ্রুনের সঠিক বিকাশ নির্ভর করে তার স্বাস্থ্যের
উপর। আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রভাত ফেলতে পারে আপনার
সন্তানের উপর। একইভাবে প্রভাব ফেলবে আপনার সন্তানের গায়ের রং এর উপরও।
এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরী এবং নিজের জীবন চক্রের ইতিবাচক পরিবর্তন
নিয়ে আসা প্রয়োজন। এসব খাবার খেলে যে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে তার কোন
নিশ্চয়তা কোন চিকিৎসকে দিতে পারেনি। তবে প্রচলিত ধারণার মতে বিশ্বাস করা হয়
গর্ভবতী অবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া হয় তার ওপর ডিপেন্ড করে বাচ্চার গায়ের বর্ণ
কেমন হবে।
তবে আপনি যদি নিয়ম মেনে সঠিক খাদ্যাভাস মেনে চলতে পারেন তবে আপনার বাচ্চার গায়ে
রং ফর্সা অথবা উজ্জ্বল করা সম্ভব। তাই প্রচলিত ধারণা মতে গর্ভাবস্থায় যে
খাবারগুলো খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হতে পারে এমন ১০টি খাবারের কথা নিম্নে
আলোচনা করা হলো-
- বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করবে দুধঃ দুধ অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিদিন দুধ পান করা অতিব জরুরী। আপনি প্রথম তিন মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র সাদা দুধ খাবেন অর্থাৎ দুধের সাথে কোন কিছুই মিশ্রিত করে খাবেন না। তিন মাস পর থেকে দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে রাতের বেলা খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন।
- বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে ডিমঃ প্রচলিত ধারণা মতে বিশ্বাস করা হয়, যদি সন্তান ফর্সা চান তবে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় মাস বা তৃতীয় মাস থেকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের নিজের পুষ্টিহীনতা দূর করার জন্য দুধ অনেক উপকারী। তাই বলে কুসুম খাওয়া বাদ দেওয়া চলবে না।
এক্ষেত্রে যখন জাফরান দুধ তৈরি করবেন তখন তিন থেকে চারটির বেশি জাফরান ব্যবহার করবেন
না। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আপনার শিশুর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ
করবে। দুধ অনাগত শিশুর শরীরের গঠনের জন্য অনেক উপকারী। দুধের গুনে বাচ্চার গায়ের
রং ফর্সা করতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হয়।
কেননা ডিমের বেশিরভাগ পুষ্টিগুণ ডিমের কুসুমের মধ্যেই থাকে। নিয়মিত ডিম খেলে
আপনার সন্তানের ব্রেনের বিকাশ ঘটবে। প্রতিদিন অন্তত দুটি ডিম খাওয়া জরুরী। ডিম
বাচ্চার জন্মের সময় তার ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ডিম
খাওয়া মা ও শিশুর জন্য খুবই কার্যকরী।
- বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে কমলাঃ অনেক রসালো ফলের মধ্যে কমলা অন্যতম এবং গর্ভাবস্থায় এটি অবশ্যই খাওয়া উচিত। কেননা কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফল এবং গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলো যেমন আমাদের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে ঠিক তেমন বাচ্চার গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায়ী নিয়মিত কমলা খেলে আপনার সন্তানের ত্বক ভালো হবে।
- জাফরান দুধঃ অনেকে মনে করে থাকেন জাফরান শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। আপনি গর্ভকালীন সময়ে তিন মাস পার করার পর সামান্য পরিমাণ জাফরান দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাই আপনি গর্ভবতী অবস্থায় এভাবে দুধ পান করলে উপকার পাবেন বলে আশা করছি।
- টমেটোঃ আপনার বাড়ন্ত ভ্রণের শরীরের বর্ণ উজ্জ্বল করতে টমেটো অনেক উপকারী একটি খাবার। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন যা ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেটের বিরুদ্ধে লড়াই করে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কাঁচা টমেটো খাওয়ার আগে টমেটো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন তারপরে খাবেন। আপনি এটি সালাত, চাটনি বা সুপ করেও খাওয়া যেতে পারে।
- বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে নারিকেলঃ নারিকেলের মধ্যে যে সাদা শাস থাকে তা গর্ভের শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাই মাঝেমধ্যে নারিকেল খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। এতে বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং পাশাপাশি বাচ্চার গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় অতিরিক্ত নারকেল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কেননা গর্ভকালীন সময়ে বেশি নারিকেল খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কেননা বেশি নারকেল খেলে যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের ডায়রিয়া হতে পারে এছাড়াও গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। তাই আপনার বাচ্চার গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল করতে মাঝেমধ্যে পরিমিত পরিমাণে নারিকেল খেতে পারেন।
- চেরি ও বেরি জাতীয় ফলঃ ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে চেরি ও বেরি জাতীয় ফল অনেক উপকারী। চেরি ও বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। তাই আপনার অনাগত সন্তানের গায়ের রং ফর্সা করতে ব্ল্যাক বেরি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া অনেক উপকারী।
- বাচ্চার গায়ের জেল্লা বাড়াবে মৌরিঃ আপনি যদি আপনার শিশুর গায়ের রং ফর্সা চান তবে মৌরি ভেজানো পানি খান। মৌরি ভেজানো পানি আপনার বাড়ন্ত বাচ্চার জেল্লা বাড়াতে কার্যকরী। তাই প্রতিদিন সকালে গর্ভবতী মায়ের ৩মিলি মৌরি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। মৌরি বমি বমি ভাব দূর করতেও অনেক সাহায্য করে।
- শিশুর শরীরের বর্ণ উজ্জ্বল করতে ঘিঃ অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যেসব নারীদের গর্ভাবস্থায় তাদের খাবারের মধ্যে ঘি এর মাত্রা বেশি ছিল তাদের প্রসব যন্ত্রণার মাত্রা অনেক কম। আবার প্রচলিত চিন্তাধারার মতে ঘি আপনার বাড়ন্ত শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে অনেক সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় আপনার ও আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য তেলের বদলে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘিআপনি বাটার বা গরম ভাতের সাথে খেতে পারেন
- বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে বাদামঃ আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং আপনার শিশুর গায়ের রং ফর্সা চান নিয়মিত শুকনো ও ভেজানো বাদাম খান। অনেকের ধারণা মতে বাদাম শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। বাদাম শিশুর স্বাস্থ্যের গঠনের জন্য অপরিহার্য পাশাপাশি বাচ্চার গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল করবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্ধে থাকেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এতক্ষণ আমরা তা নিয়ে আলোচনা করেছি। চলুন
এখন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়। সন্তান যখন পেটে আসে
তখন সব বাবা-মাই চাই একটি ফুটফুটে শিশুর। তখন থেকেই শুরু হয় সেই বাচ্চার গায়ের
রং নিয়ে শত জল্পনা কল্পনার।
সন্তান জন্ম হওয়ার পরেও একজন মা চাইলেই তার বাচ্চার গায়ের রং যদি কালো হয়
তাহলে তা পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে তবে গর্ভাবস্থায় আপনি চাইলে কিছু কাজ করতে
পারেন। এতে করে বাচ্চার গায়ের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে মূল
উদ্দেশ্য হওয়া উচিত একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেয়া।
এমন অনেক ধরনের খাবার আছে যেগুলো খেলে সন্তানের গায়ের রং কালো হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে বলে অনেকে মনে করেন। সন্তান কাল হোক আর ফর্সা হোক সেটা বড় বিষয়
নয় সন্তান সুস্থ কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। বাবা মা অথবা পরিবারের গায়ের
রং যদি কালো হয়ে থাকে তাহলে অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকে আপনার বাচ্চার গায়ের রং
কালো হওয়ার।
গর্ভাবস্থায়ী সকল খাবারই জরুরি এবং পুষ্টিকর এমন কোন খাবার নেই যেগুলো খেলে
গর্ভাবস্থায় আপনার বাচ্চার গায়ের রং কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
একটি বাচ্চা ফর্সা বা কালো হওয়া কিসের উপর নির্ভর করে
একটি বাচ্চা ফর্সা বা কালো হওয়া কিসের উপর নির্ভর করে জানেন কি? আপনারা হয়তো
অনেক সময় দেখে থাকবেন বাবা-মা দাদা বা বংশের কারো গায়ের রং যদি কালো হয় তাহলে
বাচ্চা কালো হয় আবার মা ফর্সা হলে বাচ্চারা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ
বিজ্ঞান এর মতে বাচ্চার ডিএনএ এর ৫০% আসে তার মায়ের থেকে এবং বাকি ৫০% আসে তার
বাবার থেকে।
তবে স্বাভাবিকভাবে পুরুষের জিন একটু বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে এইজন্য প্রায় ৬০%
পুরুষ জিনের আধিপত্য থাকে আর বাকি ৪০% নারী জিনের আধিপত্য থাকে। এ কারণবশত নারী জিন তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। আবার বাবা মা শ্যামলা বর্ণের হলেও শিশুর মধ্যে মিশ্র
গঠন ফর্সা বা কালো হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় আবার অনেক সময় দেখা যায় সন্তানের চেহারা বাবা
মায়ের মত হয়।
আবার দাদা দাদির মতো হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় একটি বাচ্চা ফর্সা বা কালো হওয়া
নির্ভর করে মূলত জেনেটিক বিষয় এর উপর এক্ষেত্রে বাবা-মার বিশেষ কিছু করার
প্রয়োজন পড়ে না। তবে কেউ যদি চান গর্ব অবস্থায় শিশুর গায়ের রং খাবারের
মাধ্যমে ফর্সা করতে তাহলে উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো খেতে পারেন।
কেননা আমাদের দেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অনেকে বিশ্বাস করে থাকেন এসব খাবার
খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে
চিকিৎসকের পরামর্শে অবশ্যই এসব খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয় তা অনেকের অজানা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে জাফরান গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কে না চাই। আর সেটা যদি হয় গর্ভকালীন সময় তাহলে একজন গর্ভবতী মা তার সন্তানের কথা আগে মাথায় আসে। তাই গর্ভপাত তাই বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে অনেকে বেছে নেন জাফরানকে।
গর্ভাবস্থায় জাফরান গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। আপনি গর্ভকালীন সময়ে তিন মাস পার করার পর সামান্য পরিমাণ জাফরান দুধের সঙ্গে
মিশিয়ে খেতে পারেন। মনে করা হয় জাফরান মিশ্রিত দুধ আপনার গর্ভের শিশুকে ফর্সা
বা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সামান্য জাফরান খেলে হবু মায়ের শরীরে মন
ভালো রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
এবং ত্বকের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ত্বকের
ভেতর থেকে করে উজ্জ্বল নরম এবং সুন্দর। আমরা সবাই জানি গায়ের রং ফর্সা করার জন্য জাফরান বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে ব্যবহার
করা হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকায় জাফার রাখা জরুরি। জাফরান
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার পাশাপাশি রয়েছে অনেক উপকারী দিক চলুন
সেগুলো জেনে নেয়া যাক
- গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে জাফরান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভকালীন সময়ে হৃদযন্ত্রের উপর অনেক চাপ পড়ে। জাফরান হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যার মধ্যে ঘুমের সমস্যা অন্যতম। তাই ভালো ঘুমের সহায়ক হতে জাফরান যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
- নিয়মিত জাফরান খাওয়া শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে।
- জাফরান হজমে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় কোমরে হাটুতে পেটে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বেদনার অনুভূত হয় জাপান অনেকটা পেইন কিলার হিসেবে কাজ করে।
গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থার জাফরান খাওয়ার অনেক নিয়মের মধ্যে একটি সহজ উপায় হলো দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে পান করা। এছাড়াও চায়ের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এছাড়াও মিষ্টি বা ফলের শরবতের সঙ্গে ও জাফরান মিশিয়ে খেতে পারেন।
- দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে পান করার নিয়মঃ একটি পাত্রের মধ্যে এক গ্লাস পরিমাণ দুধ নিন এবং দুধ গরম হতে শুরু করলে তার মধ্যে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে নিন এখন জাফরান ভালোভাবে মিশাতে থাকুন। দুধ ফুটতে শুরু করলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন এবং কিছুটা ঠান্ডা হলে তারপর পান করুন।
- চায়ের সঙ্গে জাফর মিশিয়ে পান করার নিয়মঃ প্রথমত চা বানিয়ে নিয়ে এবং সেটি একটি কাপে ঢেলে নিন। এখন এই চায়ের মধ্যে এক চিমটি পরিমাণ জাফরান যোগ করুন। এখন যা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং পান করুন।
- এছাড়া কিসমিস বাদাম এবং জাফরান একত্রে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এগুলো বিশ্বাস করা কতটা যৌক্তিক
একজন নারী যখন জানতে পারে সে মা হতে চলেছে তখন থেকে নবজাতকের জন্য তার বিভিন্ন
প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। মানুষ শিক্ষিত তবে সুন্দরের পূজারী। তাই সব মায়েরাই
চায় তাদের বাচ্চা সুস্থ সুন্দর ও ফর্সা হোক। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রচলিত
নিয়ম-কানুন মেনে থাকেন। অনেকেই বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে বিভিন্ন সাদা
জাতীয় খাবার খান।
তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে এসব খাবার খাওয়া কতটা যৌতিক চলুন
বিশেষজ্ঞদের মতে জেনে নিয়ে যাক। গর্ভবতী শিশুর গায়ের রং ফর্সা হওয়ার ব্যাপারটি
গর্ভবতী মায়ের খাবারের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন খাবারের উপর
বাচ্চার শরীরের রং কেমন হবে সেটা নির্ভর করে না। বাচ্চা কালো হবে নাকি ফর্সা হবে
তা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া জিনের ওপর।
জিন গত বৈশিষ্ট্যের কারণে বাচ্চা গায়ের রং ফর্সা বা কালো হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে
খাদ্য নির্বাচনের ওপর পাচের গায়ের রং নির্ভর করে না। একটি শিশুর চোখের রং চুল
ত্বক ইত্যাদি বিষয়ে জেনেটিক্যালি নির্ধারিত হয়ে থাকে। এসব খাবার খেলে যে
বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় তার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে আমাদের দেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অনেকে বিশ্বাস করে থাকেন এসব খাবার খেলে
বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের
পরামর্শে অবশ্যই এসব খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে কিছু অসাধারণ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ত্বক ফর্সা করার খাবার?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ত্বক ফর্সা করার খাবারের মধ্যে রয়েছে সব
ধরনের সাইট্রাস ফল। সাইট্রাস ফল সাধারণত একটি উজ্জ্বল বর্ণের শিশুর জন্ম দিতে
অনেকটা কার্যকর। গর্ভাবস্থায় এটি খেলে অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে অনেকে মনে
করেন। এটি সাধারণত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যার শিশুর ত্বককে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় দুধে কতটুকু কেশর বা জাফরান খাওয়া উচিত
উত্তরঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে, আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে 125 মিলিগ্রাম জাফরান
খেলে ভালো উপকার পাবেন। এটি প্রতিদিন দুবার খাবেন।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়?
উত্তরঃ আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং সব সময় চিত হয়ে শুয়ে থাকার
অভ্যাস থাকে তাহলে তা এখনই বন্ধ করুন। কেন না গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে
প্রসবকালীন সময়ে মৃত শিশু জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি সারাক্ষণ
চিত হয়ে শুয়ে থাকেন তাহলে আপনার শিশুর হ্রদস্পন্দন বা হার্টবিট কমে যেতে
পারে।
প্রশ্নঃ কত সপ্তাহে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থার ১১ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে ভ্রুনের
লিঙ্গ নির্ণয় করে আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝা যায়।
প্রশ্নঃ জাফরান কতদিন খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
উত্তরঃ আপনি পাঁচ থেকে সাতটি জাফার নিয়ে গরম জলের মধ্যে ১০ মিনিট
ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন সকালে এটি আপনি পান করতে পারেন আপনি যদি ভাল ফলাফল
পেতে চান তাহলে ১৫ দিন এটি খেয়ে দেখতে পারেন।
প্রশ্নঃ জাফরান খেলে কি শরীরের গরম বাড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ জাফরান শরীরের উষ্ণতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি যদি এটি
বেশি পরিমাণে খান তাহলে এটি আপনার শরীরের উষ্ণতাকে বাড়িয়ে দিবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, গর্ভাবস্থায়
কি খেলে বাচ্চা কালো হয় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও একটি বাচ্চা ফর্সা বা
কালো হওয়া কিসের উপর নির্ভর করে, গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা
হয়, গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার নিয়ম , গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা
হয় এগুলো বিশ্বাস করা কতটা যৌক্তিক, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সে
সম্পর্কে কিছু অসাধারণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবার চেষ্টা
করেছি।
বাচ্চা কালো হোক কিংবা ফর্সা এটা আল্লাহর দেয়া সবথেকে বড় নেয়ামত। যদিও
বাচ্চা ফর্সা হওয়া বা কালো হওয়া খাবারের উপর নির্ভর করে না। তবুও আপনি চাইলে
সঠিক খাদ্যাভাস এবং উপরিউক্ত খাবার গুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার বাচ্চার গায়ের
রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের উচিত একটি সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দেয়ার
চেষ্টা করা। এজন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরী এবং নিজের জীবন চক্রের
ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ সময় আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কেননা শরীরের ওজন অনেক বেশি বেড়ে গেলে প্রিম্যাচিউর বাচ্চার জন্ম হয় এবং
আপনার বাচ্চার আইকিউ এর উপর প্রভাব পড়ে।
বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। বিজ্ঞানীরা বলেন
গর্ভের শিশু সবকিছু শুনতে পাই এবং সে অনুযায়ী সাড়াও প্রদান করে। তাই আপনার
গর্ভে শিশুর সাথে কথা বলুন প্রতিদিন বিভিন্ন ধর্মীয় বই এবং বিখ্যাত মনীষীদের
জীবনে পড়ুন। হাসিখুশি থাকুন ভালো থাকুন এবং আপনার গর্ভের বারণ তো সন্তানকে
ভালো রাখুন।
মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url