গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার সেরা উপকারিতা-মাতৃত্বের একটি পরিপূর্ণ খাবার
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা/গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা?
আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য কচুর
লতি অনেক বেশি উপকারী। আপনারা যারা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের জন্য এ বিষয়গুলো জানা
অত্যন্ত জরুরী।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সেই সাথে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি
খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানা জরুরী। কেননা কচুর লতি খেলে অনেক সময় গলা
চুলকায় এবং এলার্জির সম্ভাবনা থাকে। তাই কিভাবে নিরাপদে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি
খাবেন জানতে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা/গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা
- কচুর বৈজ্ঞানিক নাম কি
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
- কচুর লতির পুষ্টিগুণ
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ
- কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয়
- কচুর লতি খেলে গলা চুলকায় কেন
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
কচুর বৈজ্ঞানিক নাম কি
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাব। তার আগে চলুন
জেনে নেয়া যাক কচুর বৈজ্ঞানিক নাম কি। কচুর বৈজ্ঞানিক নাম Colocasia esculenta।
এটি এক ধরনের উদ্ভিদ যা Araceae পরিবারে অন্তর্ভুক্ত। এই উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য এবং
ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-
পরিবার ও গঠনঃ
- পরিবারঃ Araceae (এরাসি পরিবারের সদস্য)
- জিনাসঃ Colocasia
- প্রজাতিঃ C.esculenta
বৈশিষ্ট্যঃ
- কচুর গাছ সাধারণত ১-৩ ফুট উঁচু হয় এবং এর পাতা বড় হৃদয় আকৃতির এর সবুজ পাতা গুলি প্রায় ২ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
- এর মূল বড় এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে।
- এর ফুল সাধারণত সাদা বা হলুদ রঙের হয়।
- কচুর মুল ও পাতা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কচুর লতি সিদ্ধ করে ভাজা অথবা তরকারিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- কচুর কিছু প্রজাতি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এর পাতা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও সংক্রমণ নিরাময়ের সহায়ক।
- কচু মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে ভালো জন্মায় এবং ট্রপিক্যাল অঞ্চলে পাওয়া যায়।
- এটি বেলে দোআঁশ ও উর্বর মাটিতে জন্মে থাকে যেখানে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপক। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া
বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপকারী। এটি
শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাসে
নানাবিধ পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ একটি উপাদান হলো কচুর লতি। যা মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য
বজায় রাখতে যথেষ্ট অবদান রাখে।
গর্ভাবস্থায় কচু লতি খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-
- কচুর লতিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, বি৬ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত রাখতে সাহায্য করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়াও ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
- ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কেননা এটি শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের সহায়তা করে থাকে। যদি ফলিক এসিডের ঘাটতি দেখা দেয় তবে এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি ঘটাতে পারে। কচুর লতি একটি প্রাকৃতিক ফলিক এসিডের উৎস যা গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বিকাশের ভূমিকা রাখবে।
- গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কচুর লতিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং আপনার পেট পরিষ্কার রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।
- কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। যা আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবেন। ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনেও অনেক বেশি সহায়ক তাই একটি গর্ভাবস্থায় মায়ের ও শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে অতিরিক্ত আইরনের প্রয়োজন হয়। কচুর লতিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আইরন রক্তের লাল কলিকা তৈরি করতে সাহায্য করে যা মা ও শিশুর জন্য খুবই জরুরী।
- গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েদের অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। কচুর লতিতে কার্বোহাইডেট থাকে যা সহজে শক্তি হিসেবে রূপান্তরিত হয়। দৈনন্দিন কার্যক্রমে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- কচুর লতিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যা গর্ভাবস্থায় শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এটি মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- গর্ভাবস্থায় অনেক সময় দেখা যায় মায়েদের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। যার কারণে মানসিক অবস্থা ভিন্ন হতে পারে। কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের সিরোটনিন হরমোন বৃদ্ধি করে যা মেজাজ ভালো রাখতে অনেক বেশি সহায়ক হয়। এতে গর্ভবতী মায়েদের মানসিক চাপ কমে যায় এবং মায়েরা স্বস্তি অনুভব করে।
- কচুর লতিতে রয়েছে পটাশিয়াম যার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয় পটাশিয়াম রক্তনালী প্রসারিত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভকালীন সময়ে চুলের গুনাগুন বজায় রাখতে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল রাখবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যায়। কচুর লোতিতে থাকা ভিটামিন সি ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। যা মায়ের শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মায়েরা জল ধরে রাখার সমস্যাই ভোগে থাকেন। যা পায়ে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। কচুর লতিতে পটাশিয়াম থাকে। যা এই জল শোষণের ক্ষমতাকে উন্নত করে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধির অনেক বেশি প্রয়োজন হয় গর্ভবতী মায়েদের জন্য। কচুর লতিতে থাকা আইরন নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে যা গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং অক্সিজেন সরবরাহকে উন্নত করে।
- অনেক গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায়। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কচুর লতি অনেক বেশি সহায়ক হতে পারে। এতে রক্তের শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি ও হ্রাস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- কচুর লতিতে প্রোটিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজে রয়েছে যা আপনার গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও টিস্যুর গঠনে অনেক বেশি সহায়ক হবে। এটি শিশুর শরীরের সঠিক বৃদ্ধি নিষেধ করে এবং গর্ভাবস্থায় সুস্থ বিকাশের সহায়ক হয়। এটি শিশুর ওজন এবং উচ্চতার সঠিকভাবে বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
কচুর লতির পুষ্টিগুণ
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা কি? যেহেতু এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি
তাই আমাদের জানা জরুরি কচুর লতির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। কেননা কচুর লতির সমস্ত
পুষ্টিগুনি একে অনেক বেশি উপকারী করে তোলে। এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার,
খনিজ এবং বিভিন্ন যৌগ দিয়ে পরিপূর্ণ যা শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। নিচে
কচুর লতির পুষ্টিগুণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর লতিতে সাধারণত নিম্নলিখিত পুষ্টিগুণ থাকে। এটি প্রায়ই
বিভিন্ন উৎসের উপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে গড়ে এই
পুষ্টিগুণের তালিকা দেওয়া হল-
পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
শক্তিঃ ২৬-৩০ ক্যালরি
প্রোটিনঃ ১.৫-২ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেটঃ ৬-৭ গ্রাম
ফ্যাটঃ ০.১-০.৩ গ্রাম
ফাইবারঃ ৩.৫-৪ গ্রাম
আইরনঃ ০.৬-০.৭ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়ামঃ ৩৮-৪০ মিলিগ্রাম
ফোলেটঃ ২০-২২ ট মাইক্রগ্রাম
ফসফরাসঃ ৪৫-৪৭ মিলিগ্রাম
জিংকঃ ০.২-০.৩ মিলিগ্রাম
পটাশিয়ামঃ ৪৫০-৪৬০ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়ামঃ ২৪-২৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এঃ ২০০-৩০০ মাইক্রগ্রাম
ভিটামিন সিঃ ৫-৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ঃ ০.২ মিলিগ্রাম
কচুর লতির পুষ্টিগুন গুলো স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী বিশেষ করে গর্ভ অবস্থায়
মায় ও শিশুর জন্য।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় কচু লতি খাওয়া নিরাপদ কিনা তা আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করছি তাই আমাদের জানা জরুরী
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ কিনা। গর্ভাবস্থায এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ
সময় যখন মায়েদের খাবারের প্রতি সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকা দরকার।
এই সময়ে কচুর লতি খাওয়া নিয়ে অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে, এটি কতটুকু নিরাপদ এবং
স্বাস্থ্য উপকারী। এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ,
এবং কিছু সতর্কতার বিষয় নিয়ে-
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া করা সাধারণত নিরাপদ। তবে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায়
রাখতে হবে। আপনি কচুর লতি কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। কেননা এটি তাদের
এমাল্ড ক্ষতি করতে পারে। অনেক মহিলার দেখা যায় গর্ভাবস্থায় অ্যাসিডিটির সমস্যা
বেড়ে যায়। যদি আপনার এরকম কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কচুর লতি খাওয়ার আগে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেতে চাইলে ভালোভাবে ধুয়ে এবং সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়া
উচিত। ভাতের সঙ্গে সিদ্ধ বা জল হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে, যা হালকা খাবারের
মধ্যে পড়ে তবে দিনে বেশি না খেয়ে মাঝেমধ্যে খাওয়ায় ভালো। যদি আপনার কোন
স্বাস্থ্য জটিলতা থাকে কিডনির সমস্যার ঝুঁকি থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
কচুর লতি খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় বিশেষ কোনো খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে অবশ্যই
পরামর্শ করে নিবেন। যাতে আপনার এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোত্তম হয়।
সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হতে পারে। যদি এটি
আপনি সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে গ্রহণ করে থাকেন। এটি গর্ভবতী মায়ের এবং
গর্ভস্থ সন্তানের জন্য অনেক পুষ্টিগুণ সরবরাহ করবেন।
তবে আপনি যে কোন নতুন খাদ্য গ্রহণ করার আগে বিশেষ করে সেটা গর্ভাবস্থায়
ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন এবং যথাযথ পদক্ষেপ
গ্রহণ করে গর্ভবতী মায়েরা নিরাপদ থাকুন এবং সুস্থভাবে গর্ভাবস্থায কাটাতে পারেন।
কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ আমরা গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে
জেনেছি। এছাড়াও কচুর লতি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে কারণ এটি
পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি সবজি। চলুন এখন কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে
জেনে নেই-
- শক্তিঃ কচুর লতিতে কম ক্যালরি থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য অনেক বেশি সহায়ক হয়।
- ফাইবারঃ উচ্চ ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
- ফোলেটঃ ফোলেট স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
- কার্বোহাইড্রেটঃ প্রায় ৬-৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে কচুর লতিতে। যা শরীরের শক্তি বাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী।
- পটাশিয়ামঃ পটাশিয়াম আপনার শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন এ ও সিঃ কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি দৃষ্টিশক্তি ও রক্ত ক্ষমতা বাড়ায়।
- ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামঃ প্রচুর লতিতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে সহায়ক।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
- ফসফরাসঃ ফসফরাস শরীরের শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এটি হাড়ের গঠন ও শক্তি বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- আইরনঃ কচুর লতিতে আইরন থাকে যার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতার প্রতিরোধ করে।
- প্রোটিনঃ কচুর নদীতে প্রোটিনের পরিমাণ কম হলেও এটি শরীরের কোষ পুনর্গঠন এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কচুর লতিতে থাকা প্রোটিন মাংসপেশির গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে থাকে।
- কার্বোহাইড্রেটঃ পুতুল লোদীতে অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরের শক্তি সরবরাহ করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এঃ কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন এ আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে এবং এটি এন্ট্রক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করবে। যা চোখের সুস্থতা রক্ষা করে এবং বিভিন্ন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
- ভিটামিন সিঃ কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি টক ত্বক চুল এবং মাড়ির সাথে জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- ভিটামিন বি৬ঃ ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি এলার্জি হয়
গর্ভাবস্থায় কচু লতি খাওয়ার উপকারিতা জানার সাথে আপনার মনের প্রশ্ন আসতে পারে
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি অ্যালার্জি হয়? গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার
অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব তার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কচুর লতি
খেলে এলার্জি হয় কিনা। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি হতে
পারে, তবে এটি ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয়।
কচুর লতিতে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ থাকে যার সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য
ত্বকে এবং শরীরে এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে। কচুর লতির মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়াম
এবং অন্যান্য এলার্জিনিক উপাদান সাধারণত এই প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
কচুর লতির এলার্জির কারণ এবং প্রতিক্রিয়াঃ
- কচুর লতিতে প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। যা ত্বকের সঙ্গে স্পর্শে এলে এবং কখনো কখনো খাওয়ার পরেও চুলকানি বা গলার অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- কচুর লতিতে থাকা রাসায়নিক উপাদান ত্বকের সংস্পর্শে এলে এলার্জির মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এটি হাত ও মুখে লালচে ফোলা দাগ বা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে।
- খুব বেশি এলার্জি হলে কখনো কখনো শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব, পেটের ব্যথা ইত্যাদিও হতে পারে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অস্বস্তিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
এলার্জি প্রতিরোধে করণীয়ঃ
- সঠিকভাবে রান্না করাঃ কচুর লতি ভালোভাবে ধুয়ে ও সঠিকভাবে রান্না করলে অনেক ক্ষেত্রে অক্সালেট্র প্রতিক্রিয়া কমে যাই। যা এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- পরিমাণে কম খাওয়াঃ নতুন খাবার হিসেবে অল্প পরিমাণে খেয়ে দেখলে জানা যায় এটি আপনার শরীরের জন্য সহনীয় কিনা।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াঃ গর্ভাবস্থায় নতুন খাবার নিয়ে শারীরিক অসুস্থ বা প্রতিক্রিয়া হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
- সংবেদনশীল ব্যক্তিদের এরানোঃ যদি আপনি আগে কখনো কচুর লতি খেয়ে এলার্জির শিকার হন তাহলে গর্ভাবস্থায় তা এড়িয়ে চলাই ভালো।
- পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াঃ কচুর লতির বিকল্প হিসেবে অন্য কোন পুষ্টিকর খাবারের পরামর্শ নিতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় শরীর অনেক বেশি সমবেদনশীল থাকে, তাই এলার্জি ভাব প্রতিক্রিয়া হলে
তার দ্রুত প্রভাব ফেলতে পারে। এলার্জির লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ
নিন।
কচুর লতি খেলে গলা চুলকায় কেন
কচুর লতি খেলে গলা চুলকায় কেন? গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার তো ব্যাপক উপকারিতা
রয়েছে তবে অনেক সময় দেখা যায় কচুর লতি খেলে গলা চুলকায়। কচুর লতি খাওয়ার পর
গলা চুলকানোর প্রধান কারণ হলো এতে থাকা ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল। এই
ক্রিস্টালগুলো কচুর লতির কোষে বিদ্যমান থাকে এবং এগুলো শরীরের প্রবেশ
করলে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
কচুর লতিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট মাইক্রো ক্রিস্টাল আকারে থাকে। যা ত্বক বা
শরীরের সংবেদনশীল অংশের সাথে সংস্পর্শে এলে জ্বালা এবং চুলকানি সৃষ্টি করে। এই
ক্রিস্টাল গুলো খাওয়ার পর গলার লালা স্রোতে প্রতিক্রিয়া করে যা গলার ভেতর
চুলকানো বা জ্বালা অনুভূতির কারণ হতে পারে। ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টালের গঠন
কাটার মত।
যা গলা ও মুখের সংবেদনশীল টিসুগুলো সংস্পর্শে এলে চুলকানি বা জ্বালা সৃষ্টি করে।
গর্ভাবস্থা বা অন্যান্য অবস্থায় অনেকের সমবেদনশীলতা বেড়ে যায় ফলে এমন
ব্যক্তিদের জন্য এটি আরো তীব্র হতে পারে। কিছু মানুষের জন্য এটি এলার্জির মতো
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে
ক্যালসিয়াম অক্সালেট কমানোর উপায়ঃ কচুর লতি ভালোভাবে ধুয়ে এবং সিদ্ধ
করলে অক্সালেটের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। যা গলা চুলকানোর প্রবণতা কমাতে সাহায্য
করে। রান্নার সময় কচুর লতির সঙ্গে লেবুর রস বা তেতুল যোগ করলে অক্সালিক নিরপেক্ষ
হতে পারে যা চুলকানোর ঝুঁকি হ্রাস করে। রান্নার সময় এতে লবন ও মসলা যোগ করলে
ক্যালসিয়াম অক্সালেট এর প্রভাব কমানো যায়। আপনাদের যাদের কারণে অতিরিক্ত
অস্বস্তি বা চুলকানি হয় তাদের জন্য এটি না খাওয়াই ভালো।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা/ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার অপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা/গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা,
কচুর লতির পুষ্টিগুণ এবং কচুর লতি খেলে গলা চুলকায় কেন সে সম্পর্কে আমরা
ইতিমধ্যে জেনেছি। যেহেতু আজকের আলোচনার বিষয় গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার
উপকারিতা তাই আমাদের গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কেও অবগত থাকতে হবে।
অনেক সময় আমরা যে কোন খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই এটি খাওয়া শুরু করি
কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে খাবারের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা ও
থাকে। যদি আপনি গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে না জানেন তাহলে
এটি বেশ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া নিরাপদ হলেও
কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে নেয়া যাক-
- অক্সালেট এর সমস্যাঃ কচুর লতিতে উচ্চমাত্রায় অক্সালেট থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত অক্সালেট গ্রহণ করেন তাহলে কিডনিতে পাথর তৈরি সম্ভাবনা থাকে।। গর্ভাবস্থায় কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে তাই এই সময় অতিরিক্ত অক্সালের যুক্ত খাবার এড়ানো উত্তম।
- হজমে সমস্যাঃ কচুর লতি হজমে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যেসব নারীদের হজমের সমস্যা বেশি থাকে। এবং এসিডিটির সমস্যা বাড়াতে পারে।
- পেট খারাপ ও বমি ভাবঃ কচুর লতি অনেকের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যা বমি ভাব ও ডায়রিয়ার মত সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এমনিতেই বমি ভাব বেশি থাকে। ফলে কচুর লতি খেলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
- এলার্জি ও খোশ পাচড়াঃ কচুর লতিতে ক্যালসিয়াম থাকে। যা চুলকানি জ্বালা বা অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী নারীদের এ ধরনের এলার্জি বা চুলকানি থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
- ক্যালসিয়াম শোষণে বাধাঃ কচুর লতি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি গর্ভস্থ শিশুর হার ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যাঃ কিছু ক্ষেত্রে কচুর লতি খাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট বা গলা বন্ধ ভাবের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যদি এটি সঠিকভাবে রান্না না করা হয় গর্ভবতী নারীদের শ্বাসকষ্ট হলে তা শিশুর অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
- থাইরয়েডের সমস্যাঃ কচুর লোতিতে গাইড্রোজেন নামক একটি উপাদান থাকে। যা থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কে প্রভাবিত করতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে অনেক বেশি সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত মায়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- টক্সিন এর সম্ভাব্য প্রস্তুতিঃ কচুর লতিতে মাঝে মাঝে কিছু প্রাকৃতিক টক্সিন থাকতে পারে। যা গর্ভবতী নারীর শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই টক্সিন গুলো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে যামা ও শিশুর শব্দের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় কচু খাওয়া যেতে পারে তবে সীমিত পরিমানে এবং ভালোভাবে
রান্না করে।
প্রশ্নঃ কচুতে কি কি ভিটামিন আছে?
উত্তরঃ কচুতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, টামিন সি এবং ফোলেট, আইরন,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমের সহায়তা করে এবং কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
প্রশ্নঃ কচু খেলে কি হিমোগ্লোবিন বাড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ কচুতে আইরন এবং ফোলেট কাছে যার রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে
অনেক বেশি সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার?
উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত ১১-১৪ গ্রাম/ডেসিলিটার
থাকা দরকার। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে
পারে।
প্রশ্নঃ লতি খেলে গলা চুলকায় কেন?
উত্তরঃ লতিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল থাকে যা গলা ও মুখে চুলকানি
এবং জ্বালা ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্নঃ কচু শাক খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ কচু শাক খেলে এটি পুষ্টি সরবরাহ করে হজমে সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে কচু শাক উৎসব
পুষ্টিমান ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
আজকের আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা শুরু
করে গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি, কচুর লতির পুষ্টিগুণ,
গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া কি নিরাপদ, গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খেলে কি এলার্জি
হয়, কচুর লতি খেলে গলা চুলকায় কেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।
কচুর লতি অনেক সহজলভ্য। গর্ভাবস্থায় কচুর লতি খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর
এবং পুষ্টিকর একটি খাদ্য। এটি সহজে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং
বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।সাধারণভাবে কচুর লতির নিয়মিত সেবন শরীরের
জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রেখে
এটি গ্রহণ করুন এবং গর্ভবস্থায় কচুর লতি খাওয়ার সর্বাধিক উপকারিতা উপভোগ করুন।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা বজায় রাখুন।
মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url