কোয়েল পাখির ডিম-জানুন উপকারিতা, অপকারিতার গোপন কথা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এই কোয়েল পাখি ডিমে? চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিই। সেই সাথে আরো জানাবো গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা অনেকেই শখের বসে কোয়েল পাখি পুষে থাকি। তাই আপনার বাড়ির এই পোষ্য পাখিটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই চলুন দেখে নিয়ে যাক কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অপরিসীম। কোয়েল পাখির ডিম আকারের দিক থেকে ক্ষুদ্র হলেও এটি অনন্য স্বাদে ও পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। এই ডিম সাধারণত প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে অনেক বেশি জনপ্রিয়। কোয়েল পাখির ডিমের আকার পরিসরে ছোট হলেও পুষ্টির দিক থেকে এর কার্যকারিতা অপরিহার্য। আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোয়েল পাখির ডিম অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে দৈনন্দিন পুষ্টির সকল চাহিদা পূরণ করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কোয়েল পাখি ডিম আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধঃ কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে আইরন ও ফোলেট যা আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কোয়েল পাখি ডিম খেলে উপকারিতা পাবেন।

হৃদপিন্ডের জন্য উপকারীঃ কোয়েল পাখির ডিমে সাধারণত কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে এবং এতে ভালো ফ্যাট থাকে তাই আপনার যদি হৃদরোগের সমস্যা থাকে তাহলে তা প্রতিরোধ করতে কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত কার্যকরী হবে।

উচ্চ পুষ্টিগুণঃ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যামিনো এসিড। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে এতে সাধারণত মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিকর হয়।

হজমের উন্নতি করেঃ কোয়েল পাখির ডিম খেলে এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে এছাড়াও যকৃত ও পাজল পাঁচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

এনার্জি বুস্টারঃ কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতার অন্যতম একটি হলো এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ কোয়েল পাখির ডিমে প্রোটিন ও বিভিন্ন ভিটামিন থাকায় এটি আপনার শরীরের শক্তি বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এটি ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরের নতুন এনার্জি তৈরি করে।

চর্মরোগের চিকিৎসায় সহায়কঃ কোয়েল পাখি ডিম আপনি যদি নিয়মিত খান এটি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য একটি ভীষণভাবে উপকারী।

হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারীঃ কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আপনার হার ও দাঁতের গঠন মজবুত করবে। এটি হাড় ক্ষয়জনিত যে কোন সমস্যায় উপকারী বলে মনে করা হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতার অন্যতম একটি হলো এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কোয়েল পাখি ডিম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ভিটামিন এ আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করবে।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারীঃ আমরা আমাদের শরীরের যেকোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের থেকে ত্বক ও চুলের যত্ন অনেক বেশি করে থাকি। আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম নিয়মিত খান এটি আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক বেশি উপকারী হবে।

এলার্জি জনিত রোগ প্রতিরোধঃ এলার্জি জনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোয়েল পাখিঢ় ডিমের এলার্জি প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কোয়েলের কাঁচা ডিম এলার্জির মাত্রা এবং লক্ষণ উভয়েই কমিয়ে দিতে সক্ষম।

বার্ধক্য প্রতিরোধ করেঃ চীনা ঔষধ অনুযায়ী কোয়েলের ডিম বয়সের ছাপ কমিয়ে দিতে সক্ষম। কোয়েল পাখির ডিমের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে অনেক বেশি উপকারী।

কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুন সম্পর্কে অজানা তথ্য

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? যেহেতু এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি তাই আমাদের জানা জরুরী কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। কেননা কোয়েল পাখির ডিমের সমস্ত পুষ্টিগুনি একে অনেক বেশি উপকারী করে তোলে। সাধারণত আমরা মুরগির ডিম সবচেয়ে বেশি খেয়ে থাকি কিন্তু কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। 
কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ
কোয়েল পাখির ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিচে কোয়েল পাখির ডিমের বিশেষ পুষ্টিগুন নিয়ে আলোচনা করা হলো-

প্রোটিনঃ কোয়েল পাখির ডিম উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এতে প্রায় ২ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা শরীরের বেশি গঠন ও মেরামতির জন্য খুবই উপকারী।

কোলিনঃ কোয়েল পাখি ডিম কোলিনের একটি ভালো উৎস। যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

ভিটামিনঃ কোয়েল পাখির ডিমঢ় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২ যা শরীরের নানান কাজে অনেক বেশি সহায়ক।

মিনারেলঃ কোয়েল পাখি ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আয়রন।

স্বাস্থ্যকর চর্বিঃ কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে মনোস্ট্যাচুরেটেড এবং পলিস্ট্যাচুরেটেড চর্বি থাকে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস হওয়ায় শরীরের কোষের গঠনে ও মস্তিষ্কের কার্যক্রমে অনেক বেশি সহায়তা করে।

কম ক্যালরিঃ কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে ক্যালরির মাত্রা অনেক কম থাকে। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

কম কলেস্টেরলঃ মুরগির ডিমের তুলনায় সাধারণত কোয়েল পাখিঢ় ডিমে কোলেস্টেরল অনেক কম মাত্রায় থাকে। যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ফলে আপনারা যারা কোলেস্টেরল সমস্যায় ভুগছেন তারা এটি নিরাপদে খেতে পারেন।

কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টি গুণের তালিকা নিচে দেয়া হলো-
( প্রতি ১০০ গ্রাম কোয়েল পাখির ডিমের ওপর ভিত্তি করে)
    • ক্যালোরিঃ ১৫৮ ক্যালরি
    • ফ্যাটঃ ১১ গ্রাম
    • প্রোটিনঃ ১৩ গ্রাম
    • কোলেস্টেরলঃ ৮৪৪ মিলিগ্রাম
    • ফোলেটঃ ৬৬ মাইক্রগ্রাম
    • কার্বোহাইড্রেটঃ ০.৪ গ্রাম
    • ক্যালসিয়ামঃ ৬৪ মিলিগ্রাম
    • আইরনঃ ৩.৬৫ মিলিগ্রাম
    • ফসফরাসঃ ২৬৬ মিলিগ্রাম
    • পটাশিয়ামঃ ১৩৪ মিলিগ্রাম
    • ম্যাগনেসিয়ামঃ ১৩ মিলিগ্রাম
    • জিংকঃ ১.৪৭ মিলিগ্রাম
    • সোডিয়ামঃ ১৪১ মিলিগ্রাম
    • ভিটামিন এঃ ৫৪৩
    • ভিটামিন ইঃ ০.৯ মিলিগ্রাম
    • ভিটামিন বি২ঃ ০.৮৪০ মিলিগ্রাম
    • ভিটামিন বি১২ঃ ১.৫৮ মিলিগ্রাম

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ব্যাপক। পৃথিবীতে যত খাদ্য উপযোগী ডিম রয়েছে তার মধ্যে কোয়েল পাখি ডিম পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বেশি। একে পুষ্টির পাওয়ার হাউজও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শিশুদের আলাদাভাবে যত্নের প্রয়োজন পড়ে, যাতে তারা কোনোরকম রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত না হয়। এই কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কঠিন রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তবে কোয়েল পাখির ডিম শিশুদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং বিভিন্ন উপকারিতায় ভরপুর একটি খাদ্য হতে পারে। এতে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এর উচ্চমানের প্রোটিন শিশুদের পেশী এবং কোষের গঠন করে যা তাদের দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করবে। 

কোয়েল পাখির ডিমে থাকা মিনারেল যেমন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম আপনার শিশুর হারও দাঁতের গঠনে সহায়ক হবে। এছাড়াও এতে থাকা আইরন আপনার শিশুর রক্তে লহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াবে যা শিশুর রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাবে এই কোয়েল পাখি ডিম। 

এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে যা আপনার শিশুর দৃষ্টি শক্তি স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্কের বিকাশ করবে। বিশেষ করে এতে থাকা ভিটামিন বি১২ এবং কোলিন শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং শিশুর মনোযোগ ধরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিম আপনার শিশুর চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করবে এবং চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাবে। 

কোয়েল পাখির ডিমের যে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে তা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমে সহায়ক হবে। এটি একটি শক্তির চমৎকার উৎস যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক চঞ্চলতার জন্য প্রয়োজনীয় সকল রকম পুষ্টি সরবরাহ করে। আপনি যদি আপনার শিশুকে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন তাহলে তা আপনার শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একটি আদর্শ পুষ্টিকর খাবার হবে। যা শিশুদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা। কোয়েল পাখির ডিম এমন একটি খাদ্য যা সকল বয়সী মানুষের জন্য হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। অনেক সময় দেখা যায় যাদের বয়স ৪০ বা ৪০ এর বেশি তাদেরকে ডিম পরিহার করতে বলা হয়। কেননা ব্রয়লার মুরগির যে ডিম গুলো থাকে সেগুলোতে অনেক বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে যা শরীরের জন্য হতে পারে অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

কিন্তু তার পরিবর্তে কোয়েল পাখি ডিম যেকোনো বয়সী মানুষ সহজেই নিসংকোচে খেতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া মা এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখি ডিমে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। গর্ভকালীন এমন একটা সময় যে সময়ে মায়ের পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

যা গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণে অনেক বেশি সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা সাধারণত বেড়ে যায়। কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন যা মা ও শিশুর জন্য শক্তির চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে। গর্ভাবস্থায় ফোলেটের অভাবে অনেক সময় শিশুর স্নায়ুর টিউব ডিফেক্ট হতে পারে, যা গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। 

কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ফোলেটের উপস্থিতি শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং স্নায়ুতন্ত্রের গঠন নিশ্চিত করতে বেশ কার্যকরী। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েরা অনেক বেশি আয়রনের ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন। কোয়েল পাখির ডিমে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল রয়েছে যা গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে অনেক বেশি উপকারী।

গর্ভাবস্থায় সময়ে হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে কোয়েল পাখি ডিমে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হরমোন স্বাভাবিক রাখে এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কোয়েল পাখির ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকায় গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি নিরাপদ হয়।

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম। আমরা ইতিমধ্যে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ, শিশুদের জন্য কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এছাড়াও আরো জানবো কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তার আগে চলুন জেনে নিয়ে যাক কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম গুলো।

কোন খাবারের শুধু উপকারিতা জানলে চলবে না তা খাওয়া সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং পরিমাণ অনুসরণ করে চলা উচিত যাতে এর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শরীরের কাজে লাগানো যায় এবং কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।

কোয়েল পাখির ডিম দিনে কয়টি খাওয়া যায়ঃ
যেহেতু কোয়েল পাখির ডিম আকারে ছোট তাই দিনে ২-৪ চারটি ডিম খাওয়া পর্যাপ্ত হতে পারে। তবে শিশুরা, গর্ভবতী নারী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ডিমের সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে দিনে ১-২টি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩-৪ টি আর গর্ভবতী নারীদের জন্য ২-৩টি যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। কোয়েল পাখির ডিম আকারে ছোট বলে কেউ অবহেলা করে অনেক বেশি পরিমাণে খাবেন না এতে করে শরীরে মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

সঠিকভাবে রান্না করাঃ
আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম রান্না করে খেতে চান তাহলে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে বা ভাজা অবস্থায় খাওয়া নিরাপদ হবে। কারণ কাঁচা ডিমে ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে। কোয়েল পাখির ডিম সিদ্ধ বা ভেজে খেলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে এবং পুষ্টিগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

সকালের নাস্তায় খাওয়াঃ
আপনি যদি সকালের নাস্তায় কোয়েল পাখি ডিম অন্তর্ভুক্ত করতে চান তাহলে এটি বেশ উপকারী হবে আপনার শরীরের জন্য। কোয়েল পাখির ডিমে থাকা প্রোটিন ও শক্তি আপনার সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করবে। সকালের নাস্তায় ডিম খেলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখবে এছাড়াও আপনার যারা বাড়তি ওজনের চিন্তায় ভুগছেন তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

কারা খেতে পারবেন না বা কম খেতে পারবেনঃ
আপনাদের যাদের কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তারা কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টেরলের মাত্রা সাধারণত মুরগির ডিমের তুলনায় কম হলেও আপনি যদি কোয়েল পাখি ডিম অতিরিক্ত খান তাহলে তার স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও যাদের ডিমের প্রতি এলার্জি রয়েছে তাদেরও এড়িয়ে চলা উচিত।

সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করাঃ
আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম সংরক্ষণ করে খেতে চান তাহলে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এটি ২-৩ সপ্তাহ ভালো থাকে। তবে তাপমাত্রা কম বা বেশি হলে ডিম দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ডিম সংরক্ষণ করার আগে পরিষ্কার ও শুকনো স্থানে রাখা এবং ফ্রিজে সংরক্ষণ করাই সর্বোত্তম হবে।

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক

কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক। যেহেতু আজকের আলোচনার বিষয় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা। তাই আমাদের উপকারিতার পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও অবগত থাকতে হবে। অনেক সময় আমরা যে কোন খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই এটি খাওয়া শুরু করি কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে খাবারের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা ও থাকে। 
কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক
যদি ও কোয়েল পাখি ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার কারণে ক্ষতিকর দিকও থাকতে পারে তাই সঠিকভাবে এবং পরিমাণ মতো খাওয়া না হলে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। কোয়েল পাখির ডিমের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিচে তুলে ধরা হলো-

উচ্চ কোলেস্টেরলঃ একটি কোয়েল পাখির ডিমে প্রায় ৭৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে যা মুরগি ডিমের তুলনায় কম হলেও অনেক। আপনারা যারা ইতিমধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য অতিরিক্ত কোয়েল পাখি ডিম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল সাধারণ জমাট বাধা সৃষ্টি করতে পারে যার হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক বা অম্লতা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি এটি ভাজা বা মসলাযুক্ত অবস্থায় খান। ডিমের মধ্যে থাকা চর্বি এবং প্রোটিন কিছু মানুষের পেটে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে গ্যাস্ট্রিক বা বুক জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে।

এলার্জির ঝুঁকিঃ কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার ফলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকে। এলার্জি হলে ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি, পেটের ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায় তাই প্রথমবার খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
 
সালমোনিলা সংক্রমণের ঝুঁকিঃ আপনি যদি কোয়েল পাখি ডিম রান্না করে খেতে চান তাহলে তা ভালোভাবে রান্না করবেন। কেননা কোয়েল পাখির ডিম ভালোভাবে রান্না না করা হয় তবে এটি সালমনিলা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারঢ়। যা খাদ্য জনিত অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সালমোনিলা সংক্রমণ থেকে বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। তাই কোয়েল পাখির ডিম কাঁচা না খেয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ ভাজা অবস্থায় খাওয়া উত্তম।

সংরক্ষণের ঝুঁকিঃ কোয়েল পাখিঢ় ডিম আপনি যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করেন তাহলে তা খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলে এতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের সৃষ্টি হতে পারে। তাই আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন তারপরও এটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। নষ্ট ডিম খেলে ফুড পয়োজনীয় বা পেটের সমস্যা হতে পারে।

কোয়েল পাখির ডিমের দাম

কোয়েল পাখির ডিমের দাম। দেশি ও মুরগির ডিমের সাথে সাথে এখন কোয়েল পাখির ডিমের চাহিদা এবং প্রচলন অনেক বেশি। তাই মানুষের চাহিদা মিটানোর জন্য কোয়েল পাখির ডিম এখন খামারে উৎপাদন করা হয়। যার কারণেই কোয়েল পাখি ডিম এখন অনেক বেশি সহজলভ্য হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য কোয়েল পাখি নিজের বাড়িতেই পালন করে। কোয়েল পাখির ডিমের দাম বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে উদাহরণস্বরূপঃ

    • বাংলাদেশঃ বাংলাদেশ কোয়েল পাখির ডিমের দাম সাধারণত প্রতি ১০০ ডিমে ২৫০-৪০০ টাকা হতে পারে।
    • ভারতেঃ ভারতে কোয়েল পাখির ডিমের দাম প্রায় ১০০ রুপি থেকে ২০০ রুপিপর্যন্ত হতে পারে।
    • মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেঃ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কোয়েল পাখির ডিমের দাম সাধারণত প্রতি ডজন ২৫০-৩৬০ টাকা।
    • অনলাইন মার্কেটপ্লেসঃ অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম ক্রয় করেন তাহলে সেখানে দাম কিছুটা বেশি হতে পারে কারণ এখানে পরিবহন এবং বিক্রয়ের খরচ যুক্ত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে অফার এবং ডিসকাউন্টের সুযোগ থাকে।
এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমের দাম বিভিন্ন কারনে পরিবর্তিত হতে পারে। স্থাঢ়, মৌসুম, উৎপাদন পদ্ধতি এবং বাজারে চাহিদা দামকে প্রভাবিত করে থাকে। সাধারণত স্থানীয় বাজার এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে দাম এক এক রকম হয়। তাই ক্রেতাদের উচিত তাদের এলাকার বাজার মূল্য যাচাই করে তারপর সঠিক দাম নির্ধারণ করা।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ফলে প্রেসার বাড়ার কোন সরাসরি প্রমাণ নেই। তবে এতে থাকা কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রেশার বাড়ানোর সম্ভাবনার দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যদি তাদের অতিরিক্ত ডিম খান বা তাদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির ডিমে কত ক্যালরি থাকে?
উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিমে প্রতি ১০০ গ্রাম ডিমে প্রায় ১৫৮ ক্যালরি থাকে। এই ক্যালরির মধ্যে প্রোটিন ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির ডিমে কি রক্তচাপ বাড়ে?
উত্তরঃ সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম খেলে রক্তচাপ বাড়ে নঢ়। তবে আপনি যদি আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কোয়েল পাখি ডিম খান তাহলে চোর রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে তাই সঠিক পরিমাণে এবং সঠিকভাবে হওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ মুরগির ডিম নাকি কোয়েল পাখির ডিম কোনটি বেশি উপকারী?
উত্তরঃ কোয়েল পাখি ডিম এবং মুরগির ডিম দুটোই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে দুটি ডিমেরই নিজস্ব কিছু সুবিধা রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিম বিশেষ কিছু পুষ্টি গুণের দিক থেকে এগিয়ে। তাই মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখির ডিম উপকারিতা তবে তা ব্যক্তি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ কোয়েল পাখির ডিমের এলার্জি জনিতো সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডিমের প্রতি এলার্জি রয়েছে তাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কয়টি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন কয়টি খাওয়া উচিত তা ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়। যেমন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ২-৪ টি, শিশুদের জন্য এটি ১-২ দুইটি হতে পারে। তবে ব্যক্তি স্বাস্থ্য পুষ্টির প্রয়োজন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এর পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত

আজকের আর্টিকেলে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখি ডিমের ক্ষতিকর দিক, কোয়েল পাখি ডিমের পুষ্টিগুণ, শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার নিয়ম, পাখির ডিমের দাম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

সামগ্রিকভাবে কোয়েল পাখি ডিম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। তবে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে এটি পরিমিতভাবে গ্রহণ করুন। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় কোয়েল পাখি ডিম নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে এটি শক্তি যোগাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগ সহ অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় কোয়েল পাখির ডিম যুক্ত করুন এবং এর পুষ্টিগুণের যত উপকারিতা আছে তা উপভোগ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url